ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন বহু মানুষ। মাউন্ট সেমেরুর অগ্ন্যুৎপাত থেকে সৃষ্ট বিশাল ছাইয়ের স্তুপের নিচে পুরো তলিয়ে গেছে ১১ গ্রাম। আগ্নেয়গিরির ছাই বাড়িঘরের ছাদ পর্যন্ত ঢেকে দিয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, ঘন ধোঁয়ার মেঘ সূর্যকে সম্পূর্ণ ঢেকে দেওয়ায় দিনের বেলাতেও আকাশ রাতের মতো ঘন অন্ধকার হয়ে আছে।দেশটির কর্মকর্তারা বলেন, অন্তত ৫৭ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন, এদের মধ্যে অনেকে গুরুতরভাবে পুড়ে গেছেন।
ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা বিএনপিবি বলছে, অগ্নিদগ্ধদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।ছাই নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানো গ্রামবাসীদের অনেকেই মসজিদ এবং অস্থায়ী কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
বিএনপিবির কর্মকর্তারা বলেন, এলাকা থেকে এ যাবত ৯ শতের ওপর মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।কিন্তু উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে দম বন্ধ করা ধোঁয়া আর বিদ্যুত সংযোগ পুরো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে। এ ছাড়াও অগ্ন্যুৎপাতের পর ঝড়বৃষ্টিতে আগ্নেয়গিরির লাভা ও ধ্বংসাবশেষ মিশে কাদায় পরিণত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় একজন কর্মকর্তা তরিকুল হক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ওই এলাকার সঙ্গে নিকটবর্তী মালাং শহরের সড়ক ও সেতু যোগাযোগও অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।খুব দ্রুত পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।ছাইয়ে চাপা পড়া ভবনগুলোতে আটকে পড়া ১০ জনকে ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে বলে বিএনপিবি জানায়।
জরুরিকালীন কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো আকাশ ঢেকে ফেলা বিশাল ছাইয়ের মেঘ থেকে প্রাণ বাঁচাতে এলাকার মানুষদের ছুটে পালানোর ভিডিও শেয়ার করেছে সামাজিক মাধ্যমে।